সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
মিরন খন্দকার, গাজীপুর থেকে॥ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবুল হোসেন নামে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলরের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ চিঠি দেওয়া হলেও বিষয়টি এতদিন প্রকাশ পায়নি। সোমবার (৯ অক্টোবর) এটি জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত আবুল হোসেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ নেতা।
বিষয়টি স্বীকার করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) এ এস এম শফিউল আলম একুশের কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মাসেই দুদকের চিঠি পেয়েছি। টঙ্গী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এলাকার ১ নম্বর কর অঞ্চল। তাই ওই অঞ্চলের প্রধান নির্বাহীকে দিয়ে তদন্তের কাজ চলছে। এ নিয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে দুদকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিব।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় মেগা সিটি, অগ্রণী টাওয়ার, মিতালী হাউজিং, সততা টাওয়ার, সাদেক ও বাসেদ টাওয়ার, স্বপ্নীল হাউজিং, মজিদ টাওয়ার, টঙ্গীর তিতাস টাওয়ার, বিসমিল্লাহ টাওয়ার এক ও দুই সহ বিভিন্ন বহুতল ভবনে অভিযুক্ত কাউন্সিলর এর নামে সম্পদ ও ফ্ল্যাট রয়েছে। একইসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় আর কোন প্লট-ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে যাবতীয় তথ্য প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর আবুল হোসেন একুশের কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি চারবারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আমার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমার সম্পদের আয়কর আমি নিয়মিত পরিশোধ করি। দুদক ডেকেছে, আমি গিয়েছিলাম। দুদক কর্মকর্তাদের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছি। আমি টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে কাজ করছি। আমার কোন অবৈধ সম্পত্তি নেই।’